আফগানিস্তানের বিপক্ষে রেকর্ড গড়ে টেস্ট জয়ের পর ওয়ানডেতে যেন অচেনা বাংলাদেশের দেখা মিলল । প্রথমবারের মতো র্যাঙ্কিংয়ে উপরে থাকা দলকে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়ে রীতিমত উড়ছে রশিদ খানরা। চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজে হারের পর আজ সিলেটে টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে মাঠে নামছে টিম টাইগার্স। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারী শিবির। কিন্তু অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবীর অর্ধশতক ও ওমরজাইয়ের ঝড়ো ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রানের সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরতেই আফগান ওপেনারদের চাপে রাখেন নাসুম। এই বাঁহাতি স্পিনারের প্রথম ওভারে মাত্র ২ রান নিতে সক্ষম হয় আফগান ওপেনাররা।
দ্বিতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদ রহমানুল্লাহ গুরবাজের উইকেট পেয়ে যেতেন। কিন্তু ডাউন দ্য উইকেটে এসে গুরাবাজের খেলা লফটেড শটে বল উপরে উঠলেও রনি তালুকদারের দারুণ চেষ্টার পরও বল তালুবন্দি হয়নি। তবে তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেটের দেখা পেয়ে যায় বাংলাদেশ। নাসুমের বলে স্লগ সুইফ খেলতে গিয়ে তাওহীদ হৃদয়ের কাছে ধরা পড়েন জাজাই।
এর ঠিক পরের ওভারেই আঘাত হানেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ১১ বলে ১৬ রান করে স্কয়ার লেগে মেহেদী হাসান মিরাজের তালুবন্দি হন গুরবাজ। এরপর পঞ্চম ওভারে ওয়ানডেতে শতক হাঁকানো ব্যাটার ইব্রাহিম জাদরানও ফিরে যান। শরিফুল ইসলামের বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
পাওয়ার প্লের পর ইনিংসের হাল ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন কারিম জানাত। সাকিব আল হাসানের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মারতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে বসেন এই অলরাউন্ডার। দলীয় ৫২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আফগানিস্তান। পঞ্চম উইকেট জুটিতে নাজিবুল্লাহ জাদরানকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের হাল ধরেন মোহাম্মদ নবী।
এই দুই ব্যাটারের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভীত গড়তে থাকে আফগানিস্তান। কিন্তু ১৪তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হন জাদরান। ২৩ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলে দলীয় ৮৭ রান প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। জাদরান ফির গেলেও এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী।
শেষ দিকে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ঝড়ো ১৮ বলে ৩৩ রান এবং অভিজ্ঞ নবীর ৫৪ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট নেন সাকিব । সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন নবী।